ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া হারবাং লালব্রীজ পয়েন্টের বালু মহাল ইজারা স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন, রক্ষাপাবে বিপুল জায়গা জমি ও জনবসতি 

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজের আবেদনের প্রক্ষিতে এবছর উপজেলার হারবাং লালব্রীজ পয়েন্টের (হারবাং-৩) সরকারি বালু মহালটি অবশেষে ইজারা দেওয়া স্থগিত করেছেন জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল)  কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বালু মহাল ইজারা কার্যক্রমে চকরিয়া উপজেলাসহ জেলার সবকটি বালু মহাল ইজারা দেওয়া হলেও এবছর আর ইজারা দেওয়া হয়নি চকরিয়া উপজেলার হারবাং লালব্রীজ পয়েন্টের (হারবাং-৩) সরকারি বালু মহালটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ।
ইউপি চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, হারবাং লালব্রীজ পয়েন্টের (হারবাং -৩) বালু মহালটি জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হতো।এতে জেলা প্রশাসন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করতো। কিন্তু মহাসড়কের পাশে এ পয়েন্টের ছড়াখাল থেকে বালু উত্তোলনের কারণে হারবাং লালব্রীজ এলাকার আশপাশের হিন্দু সম্প্রদায়সহ স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের জনগণের জায়গা জমি ও বাড়িভিটা ভেঙে ছড়াখালে বিলীন হয়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিল।
তিনি বলেন, গতবছর বিষয়টি স্থানীয় লোকজন থেকে জানতে পেরে তৎকালীন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ানকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেসময় ইউএনও জেপি দেওয়ানকে জনগণের যানমালের নিরাপত্তার সুরক্ষার স্বার্থে পরবর্তী বছর থেকে হারবাং লালব্রীজ পয়েন্টের বালু মহালটি ইজারা কার্যক্রমের আওতায় না আনতে অনুরোধ জানাই।
হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন ইউএনও জেপি দেওয়ান কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে বিষয়টির আলোকে সুপারিশ করেন। এরই ফলশ্রুতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনে অনুষ্ঠিত বালু মহাল ইজারা কার্যক্রমে চকরিয়া উপজেলাসহ জেলার সবকটি বালু মহাল ইজারা দেওয়া হলেও এবছর আর ইজারা দেওয়া হয়নি চকরিয়া উপজেলার হারবাং লালব্রীজ পয়েন্টের (হারবাং-৩) বালু মহালটি।
জনগণের জায়গা জমি ও বাড়িভিটাসহ যানমালের নিরাপত্তার সুরক্ষাকল্পে একটি কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করায় আমি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, তৎকালীন ইউএনও জেপি দেওয়ান ও বর্তমান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ফখরুল ইসলাম এর কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কারণ এই একটি ভালো কাজের বদৌলতে উপকৃত হবে স্থানীয় এলাকাবাসী।

পাঠকের মতামত: